প্রত্যেক নারীর জন্য নিরাপদ গর্ভপাত (SAFE)
![Safe Abortion for Every Woman (SAFE)](https://mariestopes.org.bd/wp-content/uploads/sites/11/2023/10/29071476703817664fe387728d6f427a28dd685f.jpg)
পটভূমি
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিস্তারের হার চমকপ্রদভাবে ৬২%-এ উন্নীত হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের হার এখনো ৪৮%।
- সমস্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি বেছে নেবার হার মাত্র ৮%, তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে পদ্ধতি পাল্টে ফেলা বা বাদ দেওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা।
- ২০১৪ সালে প্রায় ১২ লাখ গর্ভপাত করানো হয়েছে, ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে যার হার ১০০০-এ ২০ জন।
সরকারি বিধি মোতাবেক মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) প্রক্রিয়া ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এবং ঔষধসহ মাসিক নিয়মিতকরণ নয় সপ্তাহ পর্যন্ত চালানোর অনুমতি রয়েছে। এইরকম উদার পরিবেশ থাকা সত্বেও, এ বিষয়ে আইনগত জ্ঞানের অভাব (৫০ শতাংশেরও কম নারীরা এ বিষয়ে শুনেছেন) এবং নেতিবাচক মনোভাবের কারণে অনেক নারীই নিজের মত করে মাসিক নিয়মিতকরণের চেষ্টা করেন, যার মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশই অনিরাপদ।
এমআর প্রক্রিয়ার সংখ্যা দেশের সরকারি ও বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৩৪% কমে ২০১৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৩০,০০০-এ। এমআর এর সংখ্যা এভাবে কমে যাওয়ার অর্থ হ’ল ফার্মেসি এবং ঔষধ বিক্রেতাদের কাছ থেকে এমআরএম গ্রহণের হার বেড়ে যাওয়া। ২০১৪ সালে অনিরাপদ এমআর গ্রহণকারী ২৫৭,০০০ নারীদের মধ্যে ৪৮% রক্তক্ষরণে ভুগেছেন, ২০১০ সালে ২৭% মিসোপ্রোস্টোলের ভুল ব্যবহারের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন।
নারীদের ১২ সপ্তহের পর এমআর সেবা নিতে চাওয়াও এই সংখ্যা হ্রাসের আরেকটি কারণ: ২৭% নিরাপদ গর্ভপাত চাওয়া নারীকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশি দরী করে ফেলার কারণে। যদিও দেশের সামগ্রিক হারের সাথে সাথে মেরী স্টোপস বাংলাদেশের এমআর গ্রহনকারীর সংখ্যা ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১৮% কমে গেছে, তবুও দেশজুড়ে আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে আমরা গুরুত্বপূর্ণ এমআর এবং এমআরএম সেবা প্রদানকারী। আমাদের রেজিস্টার্ড কম্বিপ্যাক মেরীপ্রিস্টের বার্ষিক বিক্রি ১৫০,০০০। বাজারের ৫টি কম্বিপ্যাক ব্র্যান্ডের মধ্যে কেবল মেরীপ্রিস্টেরই কল সেন্টার সুবিধা রয়েছে।
লক্ষ্য
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হ’ল সারা দেশের গ্রাম ও শহর এলাকায় উচ্চ মানের ও সুলভ এমআর সেবার অপূর্ণ চাহিদা পুরন করা্
উদ্দেশ্য
- কেন্দ্রগুলোতে সুলভ মূল্য নিশ্চিত করার সাথে সাথে একটি দাতব্য ব্যবস্থা পরিচালনা করা যাতে আর্থিকভাবে দরিদ্র নারীদের ফিরে যেতে না হয়।
- আমাদের ৩০টি কেন্দ্রকে শক্তিশালী করা ও তাদের প্রচার-প্রসার ঘটানো যেখানে নারীরা গোপনীয়তার সাথে উচ্চ মানের এমআর সেবা ও গর্ভপাত পরবর্তী সেবা পেতে পারে।
অন্যান্য প্রকল্প
আমাদের প্রতিটি প্রকল্প আলাদা হলেও তাদের একটা সাধারণ লক্ষ্য আছে। সেটি হ’ল বাংলাদেশের নারী, পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও এ সম্পর্কিত তাদের যে অধিকার, সে সবের উন্নতি ঘটানো।
![Nirapod-2](https://mariestopes.org.bd/wp-content/uploads/sites/11/2023/10/ffc62c3f646e7060e413fc7d209ddd45772f43f2.jpg)
নীরপদ-2
বাংলাদেশের গ্রামীণ নারী, পুরুষ এবং কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং গার্মেন্টস কারখানায় তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার প্রয়োগ করার জন্য শেষ পর্যন্ত মাতৃস্বাস্থ্যের ফলাফলের উন্নতি হয়।
![153311c523fbb54e7393d1684f86900d6b89ef61-2](https://mariestopes.org.bd/wp-content/uploads/sites/11/2023/10/153311c523fbb54e7393d1684f86900d6b89ef61-2-scaled.jpg)
বাংলাদেশে দরিদ্র মা ও নবজাতকদের যত্নকে শক্তিশালী করা
বাংলাদেশের নির্বাচিত শহুরে এলাকায় মানসম্পন্ন মা, শিশু এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস এবং ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
![Strengthening Family Planning Program through Advocacy (AFP)](https://mariestopes.org.bd/wp-content/uploads/sites/11/2023/10/e75c48a2218cf012a6c945481aa095b493a3bf24.jpg)
অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি শক্তিশালী করা (AFP)
বাংলাদেশের নারী, পুরুষ এবং কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য (SRH) এবং সুস্থতার উন্নতি করা।
Learn more about our services
Find out more about the services we offer and their availability across Bangladesh.